শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১১

ইসলামের নামে কেন এই প্রহসন???????????????????????????????????


ইসলামের নামে কেন এই প্রহসন?????????????????????????????????????
চরমোনাই পীরের লেখা ‘ভেদে মারেফত’ বইয়ের ১৫ পৃষ্ঠায় মৃতকে জীবিত করার যে গল্পটা আছে তা নিম্নরূপঃ
শামসুদ্দীন তাব্রীজী নামের এক লোক ছিলেন। লোকেরা তাকে পীর সাহেব কেবলা বলত।
... একদা হযরত পীর সাহেব কিবলা রোম শহরের দিকে রওয়ানা হইলেন। পথিমধ্যে ঝুপড়ির ভে...তর এক অন্ধ বৃদ্ধকে লাশ সামনে নিয়া কাদঁতে দেখিলেন। হুজুর বৃদ্ধকে প্রশ্ন করিলে বৃদ্ধ উত্তর করিলেন, “হুজুর এই পৃথিবীতে আমার খোঁজ খবর করিবার আর কেউ নাই, একটি পুত্র ছিল সে আমার যথেষ্ট খেদমত করিত, তাহার ইন্তেকালের পর সে একটি নাতি রাখিয়া যায়। সেই ১২ বছরের নাতি একটা গাভী পালিয়া আমাকে দুগ্ধ খাওয়াইত এবং আমার খেদমত করিত, তার লাশ আমার সম্মুখে দেখিতেছেন। এখন উপায় না দেখিয়া কাঁদিতেছি” । হুজুর বলিলেন এ ঘটনা কি সত্য? বৃদ্ধ উত্তর করিলেন এতে কোন সন্দেহ নেই। তখন হুজুর বলিলেন"হে ছেলে আমার হুকুমে দাঁড়াও"। তো ছেলে উঠে দাঁড়াল এবং দাদুকে জড়াইয়া ধরিল, বৃদ্ধ তাকে জিজ্ঞেস করিল “তুমি কিরূপে জিন্দা হইলে”। ছেলে জবাব দিল, “আল্লাহর অলি আমাকে জিন্দা করেছেন”। (নাউজুবিল্ লাহ) তারপর ঐ অঞ্চলের বাদশাহ হুজুরের এই খবর পেয়ে উনাকে তলব করিলেন। উনাকে পরে জিজ্ঞেস করিলেন"আপনি কি বলিয়া ছেলেটিকে জিন্দা করিয়াছেন"। হুজুর বলিলেন আমি বলেছি “হে ছেলে আমার আদেশে জিন্দা হইয়া যাও”। অতঃপর বাদশাহ বলিলেন, “যদি আপনি বলিতেন আল্লাহর আদেশে”। হুজুর বলিলেন"মাবুদ! মাবুদের কাছে আবার কি জিজ্ঞেস করিব। তাহার আন্দাজ নাই (নাউজুবিল্ লাহ)। এই বৃদ্ধের একটি মাত্র পুত্র ছিল তাহাও নিয়াছে, বাকী ছিল এই নাতিটি যে গাভী পালন করিয়া কোনরুপ জিন্দেগী গোজরান করিত, তাহাকেও নিয়া গেল। তাই আমি আল্লাহ পাকের দরবার থেকে জোরপূর্বক রুহ নিয়ে আসিয়াছি”। (নাউজুবিল্ লাহ)।
এরপর বাদশাহ বলিলেন আপনি শরীয়াত মানেন কিনা? হুজুর বলিলেন “নিশ্চয়ই! শরীয়াত না মানিলে রাসূল (সাঃ) এর শাফায়াত পাইব না”। বাদশাহ বলিলেন, “আপনি শির্ক করিয়াছেন, সেই অপরাধে আপনার শরীরের সমস্ চামড়া তুলে নেয়া হবে”। এই কথা শুনিয়া আল্লাহর কুতুব নিজের হাতের অঙ্গুলি দ্বারা নিজের পায়ের তলা থেকে আরম্ভ করে পুরো শরীরের চামড়া ছাড়িয়ে নিলেন, তা বাদশাহর কাছে ফেলিয়া জঙ্গলে চলিয়া গেলেন। পরদিন ভোরবেলা যখন সূর্য উঠিল তার চর্মহীন গায়ে তাপ লাগিল তাই তিনি সূর্যকে লক্ষ করিয়া বলিলেন “হে সূর্য, আমি শরীয়াত মানিয়াছি, আমাকে কষ্ট দিওনা”। তখন ওই দেশের জন্য সূর্য অন্ধকার হইয়া গেল। দেশের মধ্যে শোরগোল পড়িয়া গেল। এই অবস্থা দেখিয়া বাদশাহ হুজুরকে খুঁজিতে লাগিলেন। জঙ্গলে গিয়া হুজুরের কাছে বলিলেনঃ শরীয়াত জারি করিতে গিয়া আমরা কি অন্যায় করিলাম, যাহার জন্য আমাদের উপর এমন মুসিবত আনিয়া দিলেন। তখন হুজুর সূর্য কে লক্ষ করিয়া বলিলেনঃ আমি তোমাকে বলিয়াছি আমাকে কষ্ট দিওনা, কিন্তু দেশবাসীকে কষ্ট দাও কেন? সূর্যকে বশ করা কি কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব? ইহা বলা মাত্র সূর্য্য আলোকিত হইয়া গেল। আল্লাহ্‌ পাক তাহার ওলীর শরীর ভাল করিয়া দিলেন

মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০১১

মায়ের কাজের মূল্য।

একটি ছেলে স্কুলে গিয়ে নতুন শিখেছে, প্রতিটা কাজই মুল্যবান।। কোনো কাজই ফেলনা নয়।। সব কাজেরই একটা অর্থ/মূল্য আছে।। এ ছাড়া কীভাবে বিল করতে হয়, তাও তাকে শেখানো হয়েছে।। একদিন সন্ধ্যায় মা রান্নাঘরে কাজ করছেন।। ছেলেটি তার কাছে গিয়ে একটা বিল জমা দিলো।। মা কাজ করছিলেন, তাই কাজ শেষ করে ছেলের দেয়া চিরকুটটা পড়লেন।। তার ছেলে লিখেছেঃ

(১)গাছে পানি দেয়াঃ ১০ টাকা।
(২)দোকান থেকে এটা-ওটা কিনে দেয়াঃ ১৫টাকা
(৩)ছোট ভাইকে কোলে রাখাঃ ৪০টাকা।
(৪)ডাস্টবিনে ময়লা ফেলাঃ ২১টাকা।
(৫)পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করাঃ ৫০টাকা ।
(৬)মশারী টানানোঃ ৫ টাকা।
মোটঃ ১৪১ টাকা।
.
.
.
মা বিলটা পড়লেন।। মুচকি হাসলেন।। তারপর তার আট বছরের ছেলের মুখের দিকে খানিকক্ষণ তাকিয়ে রইলেন।। তার চোখে পানি চলে আসছে।। তিনি এক টুকরো কাগজ হাতে নিলেন।। তারপর তিনি লিখতে লাগলেন।।
.
.
.
(১)তোমাকে ১০মাস পেটে ধারনঃ বিনা পয়সায়।
(২)তোমাকে দুগ্ধপান করানোঃ বিনা পয়সায়।
(৩)তোমার জন্য রাতের পর রাত জেগেথাকাঃ বিনা পয়সায়।
(৪)তোমার অসুখ-বিসুখে তোমার জন্য দোয়া করা, সেবা করা, ডাক্তার এর কাছে নিয়ে যাওয়া,তোমার জন্য চোখের পানি ফেলাঃ বিনা পয়সায়।
(৫)তোমাকে গোসল করানোঃ বিনা পয়সায়।
(৬)তোমাকে গল্প,গান,ছড়া শোনানোঃ বিনা পয়সায়।
(৭)তোমার জন্য খেলনা, কাপড় চোপড় কেনাঃ বিনা পয়সায়।
(৮)তোমার কাথা ধোওয়া, শুকানো, বদলে দেওয়াঃ বিনা পয়সায়।
(৯)তোমাকে লেখাপড়া শেখানোঃ বিনা পয়সায়।
(১০ )এবং তোমাকে আমার নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসাঃ বিনা পয়সায়।

ছেলেটির হাতে মা কাগজ তা তুলে দিলেন।। ছেলে পড়তে লাগলো মায়ের বিল।। পড়তে পড়তে তার চোখ পানিতে ভরে উঠলো।। সে তার নিজের লেখা চিরকুটটা হাতে তুলে নিয়ে মাকে বললোঃ বিল পরিশোধিত।।