মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০১১

মায়ের কাজের মূল্য।

একটি ছেলে স্কুলে গিয়ে নতুন শিখেছে, প্রতিটা কাজই মুল্যবান।। কোনো কাজই ফেলনা নয়।। সব কাজেরই একটা অর্থ/মূল্য আছে।। এ ছাড়া কীভাবে বিল করতে হয়, তাও তাকে শেখানো হয়েছে।। একদিন সন্ধ্যায় মা রান্নাঘরে কাজ করছেন।। ছেলেটি তার কাছে গিয়ে একটা বিল জমা দিলো।। মা কাজ করছিলেন, তাই কাজ শেষ করে ছেলের দেয়া চিরকুটটা পড়লেন।। তার ছেলে লিখেছেঃ

(১)গাছে পানি দেয়াঃ ১০ টাকা।
(২)দোকান থেকে এটা-ওটা কিনে দেয়াঃ ১৫টাকা
(৩)ছোট ভাইকে কোলে রাখাঃ ৪০টাকা।
(৪)ডাস্টবিনে ময়লা ফেলাঃ ২১টাকা।
(৫)পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করাঃ ৫০টাকা ।
(৬)মশারী টানানোঃ ৫ টাকা।
মোটঃ ১৪১ টাকা।
.
.
.
মা বিলটা পড়লেন।। মুচকি হাসলেন।। তারপর তার আট বছরের ছেলের মুখের দিকে খানিকক্ষণ তাকিয়ে রইলেন।। তার চোখে পানি চলে আসছে।। তিনি এক টুকরো কাগজ হাতে নিলেন।। তারপর তিনি লিখতে লাগলেন।।
.
.
.
(১)তোমাকে ১০মাস পেটে ধারনঃ বিনা পয়সায়।
(২)তোমাকে দুগ্ধপান করানোঃ বিনা পয়সায়।
(৩)তোমার জন্য রাতের পর রাত জেগেথাকাঃ বিনা পয়সায়।
(৪)তোমার অসুখ-বিসুখে তোমার জন্য দোয়া করা, সেবা করা, ডাক্তার এর কাছে নিয়ে যাওয়া,তোমার জন্য চোখের পানি ফেলাঃ বিনা পয়সায়।
(৫)তোমাকে গোসল করানোঃ বিনা পয়সায়।
(৬)তোমাকে গল্প,গান,ছড়া শোনানোঃ বিনা পয়সায়।
(৭)তোমার জন্য খেলনা, কাপড় চোপড় কেনাঃ বিনা পয়সায়।
(৮)তোমার কাথা ধোওয়া, শুকানো, বদলে দেওয়াঃ বিনা পয়সায়।
(৯)তোমাকে লেখাপড়া শেখানোঃ বিনা পয়সায়।
(১০ )এবং তোমাকে আমার নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসাঃ বিনা পয়সায়।

ছেলেটির হাতে মা কাগজ তা তুলে দিলেন।। ছেলে পড়তে লাগলো মায়ের বিল।। পড়তে পড়তে তার চোখ পানিতে ভরে উঠলো।। সে তার নিজের লেখা চিরকুটটা হাতে তুলে নিয়ে মাকে বললোঃ বিল পরিশোধিত।।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন